বাংলাদেশে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস বা সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ একটি প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিবছর দেশের একটি বড় এলাকা এসবে আক্রান্ত হয়, যার ফলশ্রুতিতে জান-মালের পাশপাশি অবকাঠামো ও পরিবেশের বিরাট ক্ষতি সাধিত হয়। এই ক্ষতি পুষিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সরকার এবং সাধারন মানুষ, সবার সামনেই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এটা একটা দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া। কিন্তু এর চেয়েও বড় চ্যলেঞ্জ হলো দুর্যোগের আব্যবহিত পরেই দৈনন্দিন ও গৃহস্থালি কাজের প্রইবেশ দ্রুত ফিরিয়ে আনা এবং সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সরবরাহ চালু রাখা। জাতীয় গ্রিড লাইন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হবার পাশাপাশি অপ্রতুল সরবরাহের কারণে এ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। নবায়নযোগ্য বিকল্প জ্বালানি বা সোলার লাইট হতে পারে দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিদ্যূতের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহের টেকসই বিকল্প। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর এই বাস্তবতাই আবার প্রমানিত হলো।.
আম্পানে বিধস্ত বাড়ী, ঝড় লণ্ডভণ্ড করেছে টিনের চাল (বামে)। জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত, কিন্তু থেমে নেই। বাঁধের উপর বসানো বাজারে আবারো মানুষের পদচারণ। দিনের শেষে নামে অন্ধকার। আম্পান বিধ্বস্ত জনপদে আলো দিয়ে যায় সোলার বিদ্যুৎ বাতি।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এই লক্ষ বাস্তবায়নে ইডকল (IDCOL) এর প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে আরএসএফ (RSF) সারদেশে ৬৭ টি উপজেলায় সোলার হোম সিস্টেম, এসি/ডিসি এবং সড়ক বাতি স্থাপনের কাজ করছে।